সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন ফুল বিক্রেতা রাসেল। সারাদিন ফুল বিক্রি শেষে ফতুল্লার লাল খা এলাকায় গেলে স্থানীয় কয়েকজন নারী রাসেলকে গলাকাটা সন্দেহ করে। পরবর্তীতে তাদের আত্ম চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে ফুল বিক্রেতা রাসেলকে বেধরক গণধোলাই দেয়। এক পর্যায়ে ঘটনার বিষয়টি ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ জানতে পারলে ওসি আসলাম হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় হকার রাসের।
হকার রাসেল ঢাকার জুরাইন দারোগা বাড়ী রোড এলাকার বাসিন্দা। সে নিয়মিত ফুল বিক্রির জন্য নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকা সহ নগরির বিভিন্ন এলাকায় যাতায়েত করে থাকেন। ফুল বিক্রির সুবাদে ফতুল্লার লাল খা এলাকায় গিয়েছেন বলে একটি সূত্রে জানা যায়।
ঘটনার বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসালম হোসেন দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, ফতুল্লার লাল খা এলাকায় রাসেল নামে একজন ফুল বিক্রেতা ছোট একটি মেয়েকে নিয়ে গেলে স্থানীয় কয়েকজন নারী তাকে গলাকাটা সন্দেহ করে। সেই নারীদের আহ্বানে কয়েক হাজার উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং রাসেলকে গণধোলাই দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে আমি সহ একটি টিম ঘটনস্থল থেকে রাসেলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।
নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র এখন গলাকাটা আতংক বিরাজ করছে। নগরির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গলাকাপা সন্দেহ গণধোলাইয়ের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। ইতি মধ্যে গতকাল সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় অজ্ঞাত এক যুবককে গলাকাটা সন্দেহ গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। গণধোলাইয়ে সেই অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুর সংবাদ প্রচার হতে না হতেই সিদ্ধিরগঞ্জের শাপলা গেস্ট হাউজ এলাকায় গলাকাটা সন্দেহে অজ্ঞাত এক নারীকে স্থানীয়র উত্তম মাধ্যম দেয়। এ নিয়ে দিনভর নগর জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। সচেতন অভিভাবক মহল গলাকাটা আতংকে নিজেদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে ও বাড়ীর বাহিরে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলছেন নগরির বিভিন্ন এলাকাগুলোতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আনাগুনা বেড়ে গেছে। অনেকেই মনে করছেন হয়তো তারা মাদক সেবী নয়তো ছেলে ধরা।
সাধারণ অভিভাবকরা এলাকাগুলোতে পুলিশের জরুরী হস্তেক্ষেপ কামনরা করেছেন। যে সকল এলাকাগুলোতে অপরিচিত মানুষের আনাগুনা বাড়ছে সেই সকল এলাকায় পর্যান্ত পরিমাণ পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করার আহ্বান জানিয়েছেন।